মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায় | Tips for Safe Mobile Banking

Mobile Banking: আমাদের ব্যবহার করা অন্যান্য লেনদেনের মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে Mobile Banking। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা তৈরি হয়েছে। দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করেছে। সহজ এবং দ্রুততম সময়ে অর্থ লেনদেন এবং কেনাকাটার সুবিধা থাকায় মানুষ নিজের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায় | Tips for Safe Mobile Banking জেনে নিন এই ব্লগ পোষ্ট এর মাধ্যমে

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায় | Tips for Safe Mobile Banking

আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায় সমূহ। আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো শেষপর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আমার সাথেই থাকুন।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায়

Tips for Mobile Banking Security

আমাদের ব্যবহার করা অন্যান্য লেনদেনের মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে মোবাইল ব্যাংকিং। আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা তৈরি হয়েছে। দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করেছে। সহজ এবং দ্রুততম সময়ে অর্থ লেনদেন এবং কেনাকাটার সুবিধা থাকায় মানুষ নিজের মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলছে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহার কারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। 



বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকা, অলিতে গলিতে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট থাকায় বর্তমানে টাকা লেনদেন এবং উঠানো সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু একই সাথে এটির নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুরো বিষয়টি ভার্চুয়ালি হওয়ায় প্রায় এর মাধ্যমে জালিয়াতি এবং প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। সেকারণে মোবাইল ব্যাংকিং করার সময় সকলের সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখলে নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করা যায়। আজকের আর্টিকেলে আমি সেসব অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

পিন নাম্বার গোপন রাখুন-

আপনাদের যদি একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থাকে। যেমন- নগদ, বিকাশ, রকেট। তবে প্রত্যেকটি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট - Mobile Banking Account এর জন্য আলাদা আলাদা পিন নাম্বার সেট করুন। এবং সে পিন নাম্বার কাউকে বলা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন কেউ যদি পিন নাম্বার জেনে যায় তবে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারবে 

ভুয়া 'কাস্টমার কেয়ার' থেকে সাবধান-

আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের পিন নাম্বার কেবল আপনার ব্যক্তিগত থাকা উচিত। ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার থেকে কখনোই আপনার পিন নাম্বার জানতে চাইবে না। যদি কেউ ভুয়া কাস্টমার কেয়ার পরিচয় দিয়ে আপনার পিন নাম্বার কিংবা ভেরিফিকেশন কোড জানতে চায় তবে পিন নাম্বার না দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার হেল্পলাইনে কল করে অভিযোগ জানান।

সঠিকভাবে নিবন্ধনিত সিমে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলুন-

আপনার সিমের নিবন্ধন যদি সঠিক না হয় তাহলে সেটি যেকোনো সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা অন্য কেউ তুলে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া সিম হারিয়েও যেতে পারে৷ এসব ক্ষেত্রে আপনার কাছে সিমের কাগজপত্র থাকলে সিমের কোনো সমস্যা হলে বা হারিয়ে গেলে আপনি খুব সহজে সেসব কাগজপত্র ব্যবহার করে সিম তুলে নিতে পারবেন। আর যদি না থাকে তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে টাকা ফিরে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

লটারি পুরষ্কার, জিনের বাদশা থেকে সাবধান-

অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল করবে বলে আপনি ১০ লাখ টাকা জিতেছেন। ওমুক নাম্বারে এতো টাকা পাঠালে আপনার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিংবা জিনের বাদশা সেজে অনেকেই টাকা বিকাশ করতে বলে। তখন অনেকেই লোভে পড়ে সাথে সাথে টাকা বিকাশ করে দেন। কথায় আছে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। সুতরাং এসে ফাঁদ থেকে সাবধান হোন। প্রতারকের নাম্বার সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন যাতে পরবর্তীতে কাউকে ধোঁকা খেতে না হয়। এবং আপনাদের আশেপাশের মানুষকে এই সম্পর্কে অবগত করুন। 

কোনো নাম্বারে টাকা পাঠানোর আগে কল করে নিশ্চিত হোন-

যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠানোর পূর্বে আপনি নিজে কল করে নিশ্চিত হোন যে টাকা পাঠালে সঠিক জায়গায় যাবে কিনা। নাম্বার ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে মোবাইল নাম্বার নকল করে টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এর আগে। সুতরাং কোনো পরিচিত জনের কাছে টাকা পাঠানোর আগে অবশ্যই আপনি কল করে নিশ্চিত হবেন সে সত্যিই টাকা চাচ্ছে কিনা৷ গলার স্বর এবং অন্যান্য বিষয়ও খেয়াল করে দেখবেন।

নিজ নিজ একাউন্টে লেনদেন করুন-

ক্যাশআউট ব্যতীত নিজেদের মধ্যে টাকা লেনদেনের জন্য ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার খুলুন এবং মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ব্যবহার করুন। এতে হিসাব রাখা সহজ হবে এবং নিরাপত্তা বাড়বে।

মেসেজের জন্য জায়গা রাখুন-

মেবাইলে মেসেজ আসার জন্য মেসেজের জায়গা পর্যাপ্ত খালি রাখুন। অনেকসময় নানান ধরনের ফিচারে মোবাইলের মেসেজ বক্স ভরে থাকে৷ ফলে নতুন মেসেজ আসার জন্য কোনো স্পেস থাকে না। এরকম হলে Mobile Banking এর গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ আসতে পারবে না। সুতরাং নতুন মেসেজ আসার জন্য ইনবক্সে জায়গা খালি রাখুন। মোবাইল কোম্পানি এবং অন্যান্য অফারের মেসেজ মুছে ফেলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ গুলো সংরক্ষণ করতে পারেন৷ যা ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে৷ তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন টসব মেসেজ যেন অন্য কেউ না দেখতে পায়। কেননা লেনদেনের বিবরণ দেখে ফেললেও নানান প্রতারণায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

নকল মেসেজ ও ভুয়া কলের ব্যাপারে সাবধান-

আজকাল বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা ব্যবহার করে ইচ্ছেমত ফোন নাম্বার বানিয়ে সেগুলো থেকে মেসেজ পাঠানো যায়, এমনকি কলও করা যায়।  এগুলো খুবই বিপদজনক। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, বিকাশ থেকে যেসব মেসেজ গুলো আসে সেগুলোর প্রেরকের স্থানে Bkash লেখা থাকে। এখন কেউ যদি অনলাইন মেসেজিং সেবার মাধ্যমে আপনাকে bkash সেজে মেসেজ দেয় এবং সেখনে যদি লেখা থাকে আপনার নাম্বারে ৫ হাজার টাকা এসেছে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হবেন৷ 

আবার অনেকেই ভুয়া কল করে আপনাকে বলবে 'ভাই/বোন আপনার বিকাশে আমার এত হাজার টাকা চলে গেছে দয়া করে আমাকে ফেরত দেন। তখন আপনি হয়তো সরল মনে মেসেজ একবার চেইক করে সাথে সাথে টাকা পাঠিয়ে দিবেন৷ সাবধান! এরকম মারাত্মক ভুল কখনোই করবেন না। প্রত্যেকবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ এলে নিজে নাম্বার ডায়াল করে চেইক করবেন বা অ্যাপস এর মাধ্যমে চেইক করবেন৷ কল কিংবা মেসেজের উপর মোটেও বিশ্বাস করবেন না।

বিকাশ থেকে যদি এরূপ কোনো মেসেজ আসে তাহলে মেসেজ পড়ে *247# ডায়াল করে বা অ্যাপ লগ ইন করে টাকা চেইক করে নিবেন। 

ব্যালেন্সের হিসেব রাখুন-

আপনার মোবাইল ব্যাংকিয়ের একাউন্টে কত টাকা জমা আছে সবসময় সেটির হিসেব রাখবেন। এটি জরুরি প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে। যেমন কোনো বিপদে পড়ে কাস্টমার কেয়ারে কল দিলে তারা ব্যালেন্স ও সর্বশেষ করা কয়েকটি লেনদেন সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে৷ তবে মনে রাখবেন কাস্টমার কেয়ার কখনোই আপনার পিন নাম্বার জানতে চাইবে না। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মেসেজ গুলোর তথ্য বেশ স্পর্শকাতর। তাই এগুলো লক করে রাখুন বা গোপন কোথাও লেখে রাখুন।

ফোন হারিয়ে গেলে-

মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে কল করে আপনার একাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। সম্ভব হলে সিম কার্ডের পিন কোড সিকিউরিটি অন করুন যাতে ফোন চালু করলে সিমের দরকার হয়। মনে রাখবেন সিম কার্ডের পিন চাল করা সামান্য বিপদজনক। কেননা সিমের পিন নাম্বার ভুলে গেলে আপনি আপনার সিম আর ব্যবহার করতে পারবেন না। একই নাম্বারের জন্য নতুন একটি সিম তুলতে হবে। 

সুতরাং সিমের পিন এক্টিভ করার জন্য দুবার ভাবুন। 

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই। Mobile Banking সেবার উপর বেশি নির্ভর হওয়া যাবে না যাতে পরবর্তীতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই আমাদের সকলেরই মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে আমাদের কমেন্টে জানাবেন। এবং পরবর্তীতে কোন ধরনের টপিকে আর্টিকেল চান তাও। রোজ গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন৷ ধন্যবাদ আমার সাথে থাকার জন্য।

সংগৃহীত - ভিডিও

Tag: which is safe mobile banking or internet banking

mobile banking app vulnerabilities

how to secure banking apps

Mobile Banking Account

is mobile banking safe on android