চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায় ২০২৩
বর্তমান সময়ে আমাদের সকলের অতিরিক্ত চুল পড়ছে। নারী-পুরুষ সকলের চুল যেন প্রতিযোগিতা করে ঝরে পড়ছে। এর ফলে অকালে আমাদের মাথা হয়ে যাচ্ছে চুল শূন্য। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। চুল পড়ার ঘরোয়া সমাধান নিয়েই আমার আজকের আর্টিকেল। বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেলে আমি মূলত কী আলোচনা করবো। বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের কথা বলবো যেগুলো মেনে চললে আপনাদের চুল পড়া অনেকটাই রোধ হবে

আজকের টপিকটি আপনাদের সকলের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করবো চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া সমাধান নিয়ে। বর্তমান সময়ে আমাদের সকলের অতিরিক্ত চুল পড়ছে। নারী-পুরুষ সকলের চুল যেন প্রতিযোগিতা করে ঝরে পড়ছে। এর ফলে অকালে আমাদের মাথা হয়ে যাচ্ছে চুল শূন্য। বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। চুল পড়ার ঘরোয়া সমাধান নিয়েই আমার আজকের আর্টিকেল। বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেলে আমি মূলত কী আলোচনা করবো। বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের কথা বলবো যেগুলো মেনে চললে আপনাদের চুল পড়া অনেকটাই রোধ হবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলের মূল কথা গুলো। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আমার সাথেই থাকুন।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া সমাধান
অতিরিক্ত চুল পড়া সত্যিই চিন্তার বিষয়। নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় ভুগছেন। চুল পড়তে পড়তে একসময় মাথায় টাক পড়ে যায়। আর চিন্তা নয়। আজকে আলোচনা করা ঘরোয়া উপায়গুলো কিছু সময় ধরে মেনে চললে আপনি এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
আলুর রস-
চুল পড়া সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন আলুর রস। চুল পড়া কমাতে, চুল দ্রুত মজবুত করতে, চুল ঝলমলে করতে আলোর রস খুব ভালো কাজ করে। যেভাবে ব্যবহার করবেন-
একটি আলু ছিলে তা ব্ল্যান্ডারের সাথে ব্ল্যান্ড করে নিন। এরপর আলুর রস একটি পরিষ্কার বাটিতে ছেঁকে নিন। এরপর আপনার হাতের আঙুলের সাহায্য খুবই আস্তে আস্তে আলুর রস চুলের গোড়ায় লাগান এবং কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। এরপর কয়েক মিনিট রেখে তা কুসুম গরম পানি এবং শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আলুর রস এবং নারিকেল তেল-
নারিকেল তেল আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং আমাদের চুলের গোড়াকে মজবুত করে। আলুর রস আমাদের চুল পড়া বন্ধ করে। যেভাবে ব্যবহার করবেন-
একটি বাটিতে পরিমাণ মতো আলুর রস নিন এবং এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এরপর শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেকটাই বন্ধ হবে।
অ্যালোভেরা জেল-
অ্যালোভেরা জেল যেমন আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী তেমন আমাদের চুল জন্যও। প্রথমে ভালোমতো শ্যাম্পু করে নিন। এরপর অ্যালোভেরা জেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। এটি সপ্তাহে দুদিন করলে চুল পড়া অনেকটাই বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে।
দই, মধু এবং লেবুর প্যাক-
চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা আবার ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে দই, মধু এবং লেবুর প্যাক অন্যতম। এটি সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু করা আগে লাগাতে পারেন।
মেথি-
নেথির গুণাগুণ সম্পর্কে আমাদের সকলের কমবেশি ধারণা আছে। এটি আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে খুব দ্রুত কাজ করবে এবং চুলের গোড়াকে করবে মজবুত, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন-
রাতে পরিমাণ মতো মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ব্ল্যান্ডারের সাহায্যে ব্ল্যান্ড করে নিন। প্যাকের মতো এটি সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। দই, মধুর সাথে মিশিয়েও লাগানো যায়। এটি লাগানোর পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
নিমপাতার নির্যাস-
১৫-২০ নিমপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে দিন। এরপর এক লিটার পানিতে নিমপাতা গুলো ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর নিমপাতা আলাদা করে পানিটি ঠান্ডা করে নিন। এরপর তা বোতলে ভরে রেখে দিন।
সপ্তাহে দুইদিন সপ্তাহ করার পর এই নিমের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাথার তালুতে ইনফেকশন, খুশকি অথবা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে তা থেকে মুক্তি পাবেন। নিমের পানি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে।
আলুর রস, ডিমের কুসুম, মধু-
তিনটি আলুর রস, একটি ডিমের কুসুম এবং এক চামচ মধু একত্রে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ৪০ মিনিট রেখে তা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে এবং নতুন চুল গজাবে।
ডিমের কুসুম-
ডিমের কুসুম আমাদের নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে। একটি ডিমের কুসুম ভালোভাবে ফেটিয়ে দিন। এরপর চুলের গোড়ায় গোড়ায় তা লাগান। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে তা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমলকীর তেল-
চুল পড়া বন্ধ করতে চুলের গোড়ায় আমলকীর তেল ভালোভাবে লাগান। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ফেলুন।
জবা ফুল-
চুল পড়া বন্ধ করতে জবা ফুল খুবই কাজে আসে। চুলের সমস্যা, খুশকি, শুষ্কতা থেকে চুলকে রক্ষা করে। চুলকে ঘন ও শক্তিশালী করে তুলতে জবা ফুল খুবই উপযোগী। জবা ফুল প্রাকৃতিক উপাদান।
তাই এটি চুলে ব্যবহার করলে কোনোরূপ সাইড ইফেক্টের সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া জবা ফুল চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করতে উপযোগী।
প্রথমে ৭টি জবা ফুল নিন। একই পরিমাণে জবা ফুলের পাতাও নিন। আধ কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে তা চুলায় দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তেল ঠান্ডা হওয়ার পর সে তেল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। চুলেও লাগিয়ে নিন। আধ ঘন্টা রেখে সালফেট ফ্রি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। এই রেমিডিটি সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাসেনশিয়াল অয়েল-
ট্রি অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল বা রোজমেরি অয়েল ব্যবহার করুন নিয়মিত। শ্যাম্পু অথবা হেয়ার প্যাকের সঙ্গে কয়েক ফোটা মিশিয়ে ব্যবহার করুন এসব অ্যাসেনশিয়াল অয়েল।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট-
কয়েক ধরনের তেল একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর তা চুলার উপর দিয়ে গরম করে নিন। কুসুম গরম তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। এরপর চুল জড়িয়ে রাখুন উক্ত তোয়ালে দিয়ে। ১৫ মিনিট পর তোয়ালে খুলে ফেলে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে।
বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল এই পর্যন্তই। আশা করছি এটি আপনাদের ভালো লেগেছে। উপরে বর্ণিত রেমিডি গুলো অনুসরণ করলে আপনাদের চুলের সমস্যা অনেকাংশই দূর হবে এবং আপনাদের চুল আগের চেয়ে সুন্দর এবং ঝলমলে হবে। আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। রোজ এমন নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।